রাসুল(ﷺ) এঁর শানে বেয়াদবি করা কুফরি❗

হাশিয়ায়ে তাফসিরে সাভী সুরা নুরের ৬৩আয়াতের ব্যাখ্যা এবং

তাফসীরে জালালাইন কিতাবের ৩০২পৃষ্ঠার ১০নং হাশিয়ায় সুরা নুর আয়াত ৬৩ ব্যাখ্যায় লিখা রয়েছে-

من إستخف بجنابه صلي الله عليه وسلم فهو كافر وملعون في الدنيا والأخرة

অর্থ- যে ব্যক্তি নবীজিপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক খাটো করবে, সে কাফির ও অভিশপ্ত হবে দুনিয়া আখেরাতে।


♦রাসূল ﷺ এঁর সাথে বেয়াদবি,শানে আঘাত, কটাক্ষ করলেই কাফের,জারজ সন্তান/জন্মে দোষ/নিশ্চিত জাহান্নাম/শাস্তি হল কতল করা বা ফাঁসীতে ঝুলানো/নিশ্চিত মালাউন; মুনাফিক/মুসলিম উম্মাহর দুশমন/আল্লাহর সাথে দুশমনি/এমন কি বিবাহিত স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে/জানাজা হারাম,মুসলমানের কবর স্থানে দাফন করা হারাম,কোন দান-খয়রাত কবুল হবে না/এমনকি দ্বিঅর্থবোধক শব্দে সম্বোধনও করা যাবে না!!!


******দলিল******

🌹পবিত্র কোরআন থেকে🌹


*১. সূরা মায়িদাহ,আয়াত নং ৩৩

*২.সূরা তাওবা,আয়াত নং ১৬,২৯,৫৪,৬১, ৬৩,৬৫,৬৬,৬৮,৮৪

*৩.সূরা হুজরাত,আয়াত নং ১,২,১৫

*৪. সূরা আহযাব,আয়াত নং ৩৬,৫৭

*৫. সূরা আনফাল,আয়াত নং ১৩, ৪৬

*৬. সূরা নিসা,আয়াত নং ১৪,১৪০,১৫০

*৭.সূরা বাকারাহ,আয়াত নং ১০৪,২১৭

*৮. সূরা আন-নুর,আয়াত নং ৬৩

*৯. সূরা আল-জিন,আয়াত নং ২৩

*১০. সূরা আল ক্বলম,ওলীদ ইবনে মুগীরার ঘটনা,জারজ সন্তান/জন্মে দোষ

*১১. সূরা আল-হাশর,আয়াত নং ৭

*১২. সুরা-আহযাব, আয়াত-৬৬

🌹হাদিস শরীফ থেকে🌹

*১. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৮৪৭; ‘রাসূলের আবির্ভাব ও ওহির সূচনা’ অনুচ্ছেদ।


*২. বুখারী ১৮৪৬; মুসলিম ৩৩৭৪

*৩. কিতাবুল খারাজ কৃত ইমাম আবূ ইয়ূসুপ ১৮২ পৃষ্ঠা,ফাতাওয়া-ই শামী ৩য় খন্ড ৩১৯ পৃষ্ঠা


*৪. বুখারী ৩০১৭; ৬৯২২; তিরমিযী: ১৪৫৮; আবু দাউদ: ৪৩৫৩; নাসাঈ: ৪০৭০

*৫.আস-সারিমুল মাসলূল:১/৯

*৬.বুখারী: ৩৬১৭; মুসলিম ২৭৮১

*৭. আবু দাউদ ৪৩৬৩, ত্ববারানী ১১৯৮৪, বুলুগুল মারাম ১২০৪, দারাকুতনী ৮৯

*৮.বুখারী -১ : ৬০, মুসলিম-১ : ৬৬

সহিহ বুখারী ২৪০,সহিহ মুসলিম,১৭৯৪

*৯. সুনানু ইবনে মাজাহ-৩

*১০. বুখারী,৬৬৫২ ই:ফা

★১. “যারা আল্লাহও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে এবং জমীনে ফাছাদ সৃস্টি করতে সচেষ্ট হয়,তাদের একমাত্র শাস্তি কতল করা বা ফাঁসিতে চড়ানো।”

[সূরা মায়িদাহ,আয়াত নং ৩৩]


★২.”যারা আল্লাহ,তাঁর রাসূল ও মুমিনগন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরংগ বন্ধু হিসেবে গ্রহন করা থেকে বিরত না রয়েছে “-(সেসব মুনাফিকদের এমনিতে ছেড়ে দেয়া হবে না)।[সূরা তাওবা,আয়াত নং ১৬]


★৩.(“যুদ্ধ করো তাদের বিরুদ্ধে)-যারা হারাম মনে করেনা ঐ জিনিসকে-যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ হারাম ঘোষনা করেছেন।”

[সূরা তাওবা,আয়াত নং ২৯]


★৪. “যারা আল্লাহর রসূলকে কষ্ট দেয় তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে।”

[সূরা তাওবা,আয়াত নং ৬১]


★৫. “তারা কি এ কথা অবগত নয় যে,যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে শত্রুতা করছে-তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন।”

[সূরা তাওবা,আয়াত নং ৬৩]


★৬. হে রাসূল! আঁপনি(আজ থেকে) মুনাফিকদের মৃত্যুর পর তাদের জানাজা পড়াবেন না এবং তাদের কবর পাশেও দাড়াবেন না।তাই এদের জন্য দোয়া করাও হারাম।”[সূরা তাওবা,আয়াত নং ৮৪]


★৭. “যদি তোমরা তোমাদের মতই একজন মানুষের আনুগত্য কর, তবে তোমরা নিশ্চিতরূপেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

[সুরা-মুমিনুন আয়াত নং ৩৪]


★৮. আল্লাহ বলেন”তোমাদের কর্মসমূহ নিস্ফল হয়ে যাবে আর তোমাদের খবরই থাকবে না”

[সূরা আল হুজরাত,আয়াত নং ২]

♦লক্ষ করুন: সাহাবায়ে কিরামগন রাসূলকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন। যখন কুরআনের সূরা হুজুরাতের ২ নং আয়াত আবতীর্ণ হলোঃ


﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَرۡفَعُوٓاْ أَصۡوَٰتَكُمۡ فَوۡقَ صَوۡتِ ٱلنَّبِيِّ وَلَا تَجۡهَرُواْ لَهُۥ بِٱلۡقَوۡلِ كَجَهۡرِ بَعۡضِكُمۡ لِبَعۡضٍ أَن تَحۡبَطَ أَعۡمَٰلُكُمۡ وَأَنتُمۡ لَا تَشۡعُرُونَ ٢ ﴾ [الحجرات: ٢]


“হে ঈমানদারগণ, তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উঁচু করো না এবং তোমরা নিজেরা পরস্পর যেমন উচ্চস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরকম উচ্চস্বরে কথা বলো না। এ আশঙ্কায় যে তোমাদের সকল আমল নিষ্ফল হয়ে যাবে অথচ তোমরা উপলব্ধিও করতে পারবে না।”


আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আল্লাহর কসম, আমি নিতান্তই আঁপনার সাথে ক্ষীণ আওয়াজ ব্যতীত কথা বলব না।


★৯.”যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হবে-তারা স্পষ্ট গোমরাহীর মধ্যে পতীত হয়ে গিয়েছে। ”

[সূরা আহযাব,আয়াত নং ৩৬]


★১০.”যারা আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসূলকে কষ্ট দেয়,আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও পরকালে লা’নত করবেন বা অভিশপ্ত করবেন।”

[সূরা আহযাব,আয়াত নং ৫৭]


★১১.”যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হয়,নিঃসন্দেহে (তাদের জন্য) আল্লাহর শাস্তি অতি কঠোর।”

[সূরা আনফাল,আয়াত নং ১৩]


★১২. “আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হবে,তাকে আল্লাহ জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন।”

[সূরা নিসা,আয়াত নং ১৪]

🌹 শেষকথা: রাসুল ﷺ এঁর শানে কোনরুপ বেয়াদবি করা যাবে না,আর করলে সাথে সাথে কাফের।যেহেতু উঁনার আদব,সম্মান,আনুগত্য করার কথা স্বয়ং আল্লাহ বলেছেন।আর রাসুল পাকের সাথে কোন সৃষ্টির তুলুনা করা যাবে কেননা তিঁনি হলেন বেমিসাল সৃষ্টি।

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url